রোগের নাম: কান্ড পঁচা/গোড়া পঁচা
রোগের কারণঃ স্কেরোসিয়াম রফসি নামক ছত্রাক।
রোগের বিস্তারঃ ছত্রাক গুলো প্রধানত মাটি বাহিত এবং অন্যান্য শস্য
আক্রমণ করে। মাটিতে জৈব সার বেশী ও খড়কুটা থাকলে এবং পানি সেচের মাধ্যমে
আক্রান্ত ফসলের জমি হতে সুস্থ্য ফসলের মাঠে বিস্তার লাভ করে।
রোগের লক্ষণঃ
১. গাছের যে কোন বয়সে এ রোগ হতে পারে।
২. গ্রীষ্মকালে মাটির উপর শায়িত লতায় এই রোগ হয়।
৩. গাছের গোড়ায় আক্রমণ করে। গোড়ায় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে মাটির কাছের একটি বা দু’টি পর্বমধ্য কালো বর্ণ ধারণ করেছে।
৪. উপরে লতার পাতা হলুদ হয়ে যায় ও ঝড়ে পড়ে।
৫. মাটি সংলগ্ন লতার উপর সাদা সুতার ন্যায় ছত্রাক মাইসেলিয়া দেখা যায়।
৬. পরে হালকা বাদামী থেকে বাদামী সরিষার ন্যায় এক প্রকার অসংখ্য দানার মত স্কেরোাসিয়া দেখা যায়।
৭. মাটি সংলগ্ন ডাঁটা পঁচে যায় এবং গাছ ঢলে পড়ে মরে যায়।
রোগের প্রতিকারঃ
১. রোগাক্রান্ত লতা/পাতা বরজ থেকে তুলে পুড়ে ফেলতে হবে।
২. রোগ প্রতিরোধী পানের জাত ব্যবহার করতে হবে।
৩. গভীর ভাবে জমি চাষ দিয়ে রোদে ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে।
৪. নতুন বরজ তৈরীর ক্ষেত্রে সুস্থ্য সবল রোগমুক্ত পানের লতা সংগ্রহ করতে হবে।
৫. পানের বরজ সবসময় আগাছা মুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৬. ট্রাইকোডারমা কমপোস্ট সার প্রতি গাছে ৫ গ্রাম হারে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
৭. লতা রোপণের পূর্বে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে প্রোভে* বা ব্যভিষ্টিন দ্বারা লতা শোধন করে নিতে হবে।
৮. বরজে রোগ দেখা দিলে প্রোভেক্স বা ব্যভিষ্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় মাটিতে স্প্রে করতে হবে।
উত্তর সমূহ
রোগের নাম: কান্ড পঁচা/গোড়া পঁচা রোগের কারণঃ স্কেরোসিয়াম রফসি নামক ছত্রাক। রোগের বিস্তারঃ ছত্রাক গুলো প্রধানত মাটি বাহিত এবং অন্যান্য শস্য আক্রমণ করে। মাটিতে জৈব সার বেশী ও খড়কুটা থাকলে এবং পানি সেচের মাধ্যমে আক্রান্ত ফসলের জমি হতে সুস্থ্য ফসলের মাঠে বিস্তার লাভ করে। রোগের লক্ষণঃ ১. গাছের যে কোন বয়সে এ রোগ হতে পারে। ২. গ্রীষ্মকালে মাটির উপর শায়িত লতায় এই রোগ হয়। ৩. গাছের গোড়ায় আক্রমণ করে। গোড়ায় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে মাটির কাছের একটি বা দু’টি পর্বমধ্য কালো বর্ণ ধারণ করেছে। ৪. উপরে লতার পাতা হলুদ হয়ে যায় ও ঝড়ে পড়ে। ৫. মাটি সংলগ্ন লতার উপর সাদা সুতার ন্যায় ছত্রাক মাইসেলিয়া দেখা যায়। ৬. পরে হালকা বাদামী থেকে বাদামী সরিষার ন্যায় এক প্রকার অসংখ্য দানার মত স্কেরোাসিয়া দেখা যায়। ৭. মাটি সংলগ্ন ডাঁটা পঁচে যায় এবং গাছ ঢলে পড়ে মরে যায়। রোগের প্রতিকারঃ ১. রোগাক্রান্ত লতা/পাতা বরজ থেকে তুলে পুড়ে ফেলতে হবে। ২. রোগ প্রতিরোধী পানের জাত ব্যবহার করতে হবে। ৩. গভীর ভাবে জমি চাষ দিয়ে রোদে ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। ৪. নতুন বরজ তৈরীর ক্ষেত্রে সুস্থ্য সবল রোগমুক্ত পানের লতা সংগ্রহ করতে হবে। ৫. পানের বরজ সবসময় আগাছা মুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ৬. ট্রাইকোডারমা কমপোস্ট সার প্রতি গাছে ৫ গ্রাম হারে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। ৭. লতা রোপণের পূর্বে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে প্রোভে* বা ব্যভিষ্টিন দ্বারা লতা শোধন করে নিতে হবে। ৮. বরজে রোগ দেখা দিলে প্রোভেক্স বা ব্যভিষ্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় মাটিতে স্প্রে করতে হবে।