১। ১. আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ২. পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১১০ সে.মি.। ৩. দানার আকার আকৃতি ব্রি ধান ৩৪ এর মতো, তবে হালকা সুগন্ধ বিদ্যমান। ৪. কান্ড শক্ত, সহজে হেলে পড়েনা এবং ধান পাকার পরও গাছ সবুজ থাকে। ৫. ডিগ পাতা খাড়া ও ফুল প্রায় এক সাথে ফোটে বিধায় দেখতে খুব আকর্ষনীয় হয়। ৬. ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ১২.৭ গ্রাম। ৭. এ ধানে অ্যামাইলোজের পরিমান ২৩.২% এবং প্রোটিন ১০.৩%।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজতলায় বীজ বপনঃ
: ১৫ আষাঢ় থেকে ০৫ শ্রাবণ (০১-২০ জুলাই)
২ । চারার বয়স ও রোপন দূরত্বঃ
: ২০-২৫ দিন বয়সী চারা ২০×১৫ সে.মি. ব্যবধানে লাগাতে হবে।
৩ । চারার সংখ্যাঃ
: প্রতি গোছায় ২-৩ টি করে।
৪ । সার ব্যবস্থাপনাঃ (কেজি/বিঘা)
: ইউরিয়া: ২০ কেজি, টিএসপি: ০৭ কেজি, এমওপি: ১০ কেজি, জিপসাম: ০৬ কেজি, দস্তা (জিংক সালফেট): ১.০ কেজি।
৫ । আগাছা দমনঃ
: রোপনের ৪০-৪৫ দিন জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
৬ । সেচ ব্যবস্থাপনাঃ
: প্রয়োজন মাফিক সম্পূরক সেচ দিতে হবে। তবে এডব্লিউডি পদ্ধতি ব্যবহার করা উত্তম।
রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমনঃ এ জাতে রোগের আক্রমণ অন্যান্য জাতের তুলনায় কম। তবে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে অনুমোদিত বালাইনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
৭ । ফসল কাটাঃ
: অক্টোবর মাসের ৩য় সপ্তাহ হতে নভেম্বরের ২য় সপ্তাহ।
এ জাতের বিশেষ প্রয়োজনীয়তাঃ
এ জাতের জীবনকাল ব্রি ধান ৩৪ এর চেয়ে ২২ দিন কম এবং ফলন প্রতি হেক্টরে প্রায় ১.০-১.৪ টন বেশি। এ জাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো কান্ড শক্ত, সহজে হেলে পড়ে না এবং ধান পাকার পরও গাছ সবুজ থাকে। ইউরিয়া সারের পরিমান কিছুটা কম প্রয়োজন হয়।