১ । বীজতলায় বীজ বপন
: ১-১৫ আষাঢ় (১৫ -৩০ জুন) উত্তরাঞ্চল এবং ১৫-৩০ আষাঢ় (১-১৫ জুলাই) অন্যান্য অঞ্চল।
২ । চারার বয়স
: ৩০-৩৫ দিন।
৩ । রোপণ সময়
: ১-৩০ শ্রাবণ (১৫ জুলাই-১৫ আগষ্ট)।
৪ । রোপণ দুরত্ব
: ২৫ X ১৫ সেমি।
৫ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ২০
৬ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৫
৭ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ৬.৫
৮ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ৪.০
৯ । জিংক সার (কেজি/বিঘা)
: ১.৫
১০ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: ইউরিয়া সার সমান ৩ কিস্তিতে জমি তৈরির শেষ পর্যায়ে, রোপণের ২০-২৫ এবং ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। বন্যায় পানি সরে যাওয়ার ৭ -১০ দিন পর জমি আগাছা মুক্ত করে সার প্রয়োগ করতে হবে। বন্যার পরে ৩ কেজি এমপি সার প্রতি বিঘায় প্রয়োগ করতে হবে।
১১ । গাছ পরিষ্কারকরণ ও আগাছা দমন
: বন্যায় পানি সরে যাওয়ার পর পানি দিয়ে ছিটিয়ে বা স্প্রে মেশিনের সাহায্যে গাছের পাতা ধুয়ে পরিস্কার করে দিতে হবে। তা না হলে পলি পড়াতে পাতা জ্বলে সাদা হয়ে যেতে পারে। বন্যার পানি সরে যাওয়ার ৭-১০ দিন পর জলজ আগাছা সহ অন্যান্য আগাছা এবং ধানের পচা পাতা পরিস্কার করে দিতে হবে। রোপনের পর অন্তত ৩০-৪০ দিন পর্যন্ত আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
১২ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: রোপনের পর থেকে দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে যথেষ্ট পরিমাণে রস থাকা প্রয়োজন। এ সময় খরা হলে অবশ্যই সম্পূরক সেচ দিতে হবে।
১৩ । রোগ বালাই দমন
: অন্যান্য ধানের মতই বন্যা সহিঞ্চু জাতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে এবং তা দমনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৪ । ধান কাটা
: শীষের আগা থেকে গোড়ার দিকে ৮০ ভাগ ধান সোনালী রং ধারণ করলে ধান কাটতে হবে।