২। ডিগ পাতা খাড়া ও লম্বা এবং গাছের উচ্চতা ১২৫ সে. মি।
৩। ধানের দানার রং খড়ের মত, অত্যন্ত লম্বা, চিকন ও সুগন্ধী।
৪। দানার অগ্রভাগে ক্ষুদ্র শুং এবং রঙিন টিপ আছে।
৫। চালের আকার আকৃতি বেশ লম্বা ও চিকন এবং রং সাদা।
৬। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২০ গ্রাম।
৭। চালে এমাইলোজের পরিমান ২১.৭%।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজ তলায় বীজ বপন
: বীজ বপনের উপযুক্ত সময় ১৫ আষাঢ় - ৩১ আষাঢ় (২৯ জুন- ১৫ জুলাই)।
২ । চারার বয়স
: ২৫-৩০ দিন।
৩ । চারার সংখ্যা
: প্রতি গুছিতে ২/৩ টি।
৪ । রোপন দুরত্ব
: ২০ সে.মি. X ১৫ সে.মি.।
৫ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ২৪
৬ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১০
৭ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩
৮ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ৯
৯ । জিংক সালফেট সার (কেজি/বিঘা)
: ১.৩
১০ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, অর্ধেক এমপি, জিপসাম এবং জিংক সালফেট প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে যথা রোপনের ১০-১৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ২৫-৩০ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৪০-৪৫ দিন পর ৩য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক এমপি তৃতীয় কিস্তি ইউরিয়ার সাথে প্রয়োগ করতে হবে।
১১ । আগাছা দমন
: রোপণের পর অন্তত ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
১২ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: থোড় অবস্থা থেকে দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে পর্যাপ্ত রস বা পানি রাখতে হবে।
১৩ । রোগবালাই দমন
: ব্রি ধান৭০ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করা উচিৎ।
১৪ । ফসল পাকা ও কাটা
: ১০-১৫ নভেম্বর ধান কাটার উপযুক্ত সময়।