৩। কান্ড শক্ত তাই হেলে পড়েনা এবং শীষ থেকে ধানও ঝরে পড়ে না।
৪। ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা এবং পাতার রং গাঢ় সবুজ।
৫। ধানের দানার রং সোনালী এবং মাঝারী চিকন।
৬। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২১ গ্রাম।
৭। চালের আকার আকৃতি মাঝারী লম্বা ও চিকন এবং রং সাদা।
৮।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজ তলায় বীজ বপন
: ৬ শ্রাবণ থেকে ৫ ভাদ্র (২১ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট)।
২ । চারার বয়স
: ২১-২৫ দিন।
৩ । চারার সংখ্যা
: প্রতি গুছিতে ২-৩ টি।
৪ । রোপণ দুরত্ব
: ২০ সেমি X ১৫ সেমি
৫ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ২০
৬ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ৭
৭ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১১
৮ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ৮
৯ । জিংক সালফেট সার (কেজি/বিঘা)
: ১.৫
১০ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, এমপি, জিপসাম এবং জিংক সালফেট প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে যথা রোপনের ৭-১০ দিন পর ১ম কিস্তি, ২০-২৫ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৩৫-৪০ দিন পর ৩য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে।
১১ । আগাছা দমন
: রোপনের পর অন্তত ২৫-৩০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
১২ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: চাল শক্ত হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সম্পূরক সেচ দিতে হবে।
১৩ । রোগ বালাই ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা
: ব্রি ধান৭৫ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন করতে হবে।
১৪ । ফসল পাকা ও কাটা
: অগ্রহায়ণ মাসের শেষ সপ্তাহ (ডিসেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহ) ধান কাটার উপযুক্ত সময়। শীষের শতকরা ৮০ ভাগ ধান পেকে গেলে দেরি না করে ধান কেটে নেওয়া উচিৎ।