৫। ব্রি ধান৬৫ এর জীবনকাল ব্রি ধান৪৩ এর চেয়ে কম এবং গাছ তুলনামূলকভাবে খাটো ও শক্ত হওয়ায় হেলে পড়ে না।
৬। ব্রি ধান৬৫ জাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো শীষ থেকে ধান সহজে ঝরে পড়ে না।
৭। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া ও ধানের শীষ উপরে থাকায় ক্ষেত দেখতে খুব আকর্ষণীয় হয়।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজ বপন
: জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা সাপেক্ষে ১৫ চৈত্র থেকে ১৫ বৈশাখ (এপ্রিলের প্রথম-শেষ সপ্তাহ) বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
২ । বপন পদ্ধতি
: সরাসরি বীজ ছিটিয়ে বা সারিতে বীজ বপন (সারি থেকে সারির দুরত্ব ২৫ সে.মি.)।
৩ । বীজের পরিমান
: ছিটিয়ে বপন করলে ৭০-৮০ কেজি/হেক্টর (৯-১০ কেজি/বিঘা) এবং সারিতে বপন করলে ৪০-৫০ কেজি/হেক্টর (৬-৯ কেজি/বিঘা)।
৪ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ১৭
৫ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩
৬ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১১
৭ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩
৮ । জিংক সালফেট সার (কেজি/বিঘা)
: ১
৯ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, জিংক সালফেট একসাথে প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে যথা- বপনের ১০-১৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ২০-২৫ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৩৫-৪০ দিন পর ৩য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে।
১০ । আগাছা দমন
: চারা গজানোর পর কমপক্ষে ৪০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে এবং সারিতে গাছ খুব ঘন হলে নিঁড়ানির সময় গাছ পাতলা করে দিতে হবে।
১১ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: কাইচথোর থেকে দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে রস বা পানি থাকলে ভাল ফলন হবে।
১২ । রোগবালাই দমন
: ব্রি ধান৬৫ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়।তবে রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিৎ।
১৩ । ফসল পাকা ও কাঁটা
: ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলো ১৫ আষাঢ় থেকে ১৫ শ্রাবন (জুলাইয়ের প্রথম-শেষ সপ্তাহ)।