১। বর্ধনশীল পর্যায়ে গাছের আকার ও আকৃতি বিআর১১ এর চেয়ে লম্বা।
২। পূর্ণবয়স্ক গাছের উচ্চতা ১১৫ সেমি।
৩। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া ও লম্বা, পাতার রং গাঢ় সবুজ এবং পাকা ধানের রং লালচে।
৪। ধানের দানার রং স্বর্ণা জাতের মত, তবে একটু মোটা ও লম্বা ।
৫। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩.৬ গ্রাম।
৬। চালের আকার আকৃতি লম্বা ও মোটা এবং রং সাদা।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজতলায় বীজ বপন
: ১৫ - ৩০ জুলাই অর্থাৎ ৩১ আষাঢ় থেকে ১৫ শ্রাবণ।
২ । চারার বয়স
: ২০-২৫ দিন।
৩ । রোপণ দূরত্ব
: ২০ x ১৫ সেন্টিমিটার।
৪ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ২২
৫ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১২
৬ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ৭.৫
৭ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ৭
৮ । জিংক সার (কেজি/বিঘা)
: ১
৯ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, জিঙ্ক সালফেট, জিপসাম এবং অর্ধেক এমপি সার প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান দুই কিস্তিত যথা রোপনের ১০ দিন পর ১ম কিস্তি, ২০-২৫ দিন পর ২য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক এমপি সার ইউরিয়া উপরি প্রয়োগের সাথে প্রয়োগ করতে হবে। জিঙ্কের অভাব পরিলক্ষিত হলে জিঙ্ক সালফেট এবং সালফারের অভাব পরিলতি হলে জিপসাম ইউরিয়ার মত উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তবে এলসিসি ভিত্তিক ইউরিয়া সারপ্রয়োগ করা উত্তম।
১০ । আগাছা দমন
: রোপণের পর অন্তত ৩০-৩৫ দিন জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
১১ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: চাল শক্ত হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সম্পূরক সেচ দিতে হবে।
১২ । রোগবালাই দমন
: ব্রি ধান৫৬ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিৎ।